অভয় সিংহ (IIT BABA) ১ জানুয়ারি ১৯৯০ সালে ভারতের হরিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর শিক্ষায় আগ্রহ এবং বিশ্ব সম্পর্কে জানার কৌতূহল ছিল। এই গুণাবলি তাঁকে ভারতের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি বোম্বেতে এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ এনে দেয়। আইআইটিতে অভয়ের পড়াশোনা এবং বহুমুখী কার্যকলাপ তাঁকে শুধু এক মেধাবী ছাত্র নয়, বরং একজন পরিপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলে।
পেশাদার জীবন ও আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহ
আইআইটি থেকে স্নাতক হওয়ার পর অভয় তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন একজন এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কাজ করে তিনি নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেন। তবে, প্রযুক্তিগত কাজের পাশাপাশি তাঁর মনে শিল্পের প্রতি গভীর টান অনুভূত হয়। আলোকচিত্রে তাঁর আগ্রহ তাঁকে প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং মানুষের আবেগকে ক্যামেরার মাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগ দেয়।
ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্য
অভয়ের জীবনে চ্যালেঞ্জের অভাব ছিল না। পারিবারিক সমস্যার কারণে ছোটবেলা থেকেই তিনি মানসিক চাপের মুখোমুখি হন। কর্মজীবনের চাপ তাঁকে আরও সমস্যায় ফেলেছিল। এই পরিস্থিতি তাঁকে নিজেকে বোঝার এবং মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার দিকে টেনে নিয়ে যায়।
Read More – নতুন মোবাইল রিচার্জ প্ল্যান ২০২৫: ট্রাইয়ের নতুন নিয়মে গ্রাহকদের জন্য বড় সুবিধা
দর্শন ও আধ্যাত্মিকতার পথে যাত্রা
অভয় প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্র অধ্যয়ন শুরু করেন এবং বেদের জ্ঞান ও জে. কৃষ্ণমূর্তির মতো দার্শনিকদের ভাবনায় অনুপ্রাণিত হন। ধ্যান, যোগ এবং আত্মোপলব্ধির চর্চা তাঁর জীবনকে নতুন অর্থ দেয়। তিনি তাঁর পেশাদার জীবন ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক পথে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করেন এবং “মাসানি গোরখ” নামে পরিচিত হন।
গুণাবলী | তথ্য |
---|---|
সম্পূর্ণ নাম | অভয় সিংহ |
আধ্যাত্মিক নাম | মাসানি গোরখ |
জন্মতারিখ | ১ জানুয়ারি, ১৯৯০ |
বয়স | ৩৪ বছর (জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী) |
জন্মস্থান | হরিয়ানা, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধর্ম | হিন্দু |
শিক্ষা | এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT) বোম্বে |
শৈশবের আগ্রহ | শিক্ষা, সৃজনশীলতা, ফটোগ্রাফি |
পেশা | এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার, ফটোগ্রাফার, আধ্যাত্মিক গুরু |
পেশাগত অর্জন | এরোস্পেস প্রকল্পে অবদান; ফটোগ্রাফির জন্য পরিচিত |
আবেগ | ফটোগ্রাফি, দর্শন, আধ্যাত্মিকতা |
আধ্যাত্মিক প্রেরণা | ইস্কনের শিক্ষা, বেদ সাহিত্য, জে. কৃষ্ণমূর্তি |
দর্শন | আভ্যন্তরীণ মুক্তি, মানসিক সুস্থতা, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সমন্বয় |
মূল শিক্ষা | যোগ, ধ্যান, মাইন্ডফুলনেস, বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার সংহতি |
বড় চ্যালেঞ্জ | পারিবারিক সমস্যা, মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই |
বড় পরিবর্তন | ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে আধ্যাত্মিকতাকে গ্রহণ |
খ্যাতি | মহা কুম্ভ মেলায় “IIT বাবা” নামে পরিচিত |
সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি | ইনস্টাগ্রামে ৫০.৯ হাজারের বেশি ফলোয়ার; মাইন্ডফুলনেস ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা শেয়ার করেন |
প্রভাব | যুবসমাজ ও পেশাজীবীদের অনুপ্রাণিত করা; মানসিক স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক জীবনধারায় গুরুত্ব দেওয়া |
তুলনা | “থ্রি ইডিয়টস” সিনেমার চরিত্রদের সঙ্গে তুলনা করা হয় যাঁরা সমাজের চাপে নয় বরং নিজের ইচ্ছাকে অনুসরণ করেন |
Read More – Khadan Movice HD Download Now
“আইআইটি বাবা” হিসেবে খ্যাতি
মহাকুম্ভ মেলায় অভয় সিংহ “আইআইটি বাবা” নামে পরিচিত হন। এখানে তিনি যোগ, বেদ এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তাঁর জ্ঞান মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেন। তাঁর সহজ এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি তাঁকে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় করে তোলে।
অভয় সিংহের জীবন এক অনুপ্রেরণার গল্প। প্রযুক্তি থেকে আধ্যাত্মিকতার পথে তাঁর যাত্রা মানুষকে নিজেকে জানার এবং মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার গুরুত্ব শিখিয়েছে। আজ তিনি শুধুমাত্র একজন আধ্যাত্মিক গুরু নন, বরং বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধনের প্রতীক।
অভয় সিংহ, একজন আইআইটি গ্র্যাজুয়েট, এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার থেকে আধ্যাত্মিক গুরুর যাত্রা কীভাবে একজন প্রেরণা হয়ে উঠল। তাঁর জীবন এবং শিক্ষা সম্পর্কে জানুন।