গত ৩ এপ্রিল ২০২৪ সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের SSC স্কুল নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেয়, যেখানে ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি বাতিল করা হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল:”অযোগ্য” (দাগি) শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন ফেরত দিতে হবে।ওএমআর শিটসহ সমস্ত প্রমাণ প্রকাশ করতে হবে।নতুন করে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।কিন্তু দুই সপ্তাহ পরও রাজ্য সরকার এই নির্দেশ পুরোপুরি মানেনি। ফলে এখন কলকাতা হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে!
কেন অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার?
১. বেতন ফেরত দেওয়া হয়নি
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, দাগি শিক্ষকদের অতীতে পাওয়া বেতন ফেরত দিতে হবে। কিন্তু এখনও:
✔ পোর্টালে অনেকের নামই রয়েছে।
✔ কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
২. ওএমআর শিট প্রকাশ হয়নি
CBI তদন্তে ২২ লক্ষ ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিল, যা নিয়োগে জালিয়াতির প্রমাণ দেয়। আদালত এগুলো পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশের নির্দেশ দিলেও এখনও তা করা হয়নি।
৩. নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা
আদালত ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে, কিন্তু এখনও কোনও কংক্রিট প্ল্যান দেখা যাচ্ছে না।
আদালত অবমাননার মামলা কী বলছে?
কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের করা মামলার মূল অভিযোগ:
1️⃣ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য (বেতন ফেরত না দেওয়া, ওএমআর শিট প্রকাশ না করা)।
2️⃣ দাগি শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ না করা, যাতে তারা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে না পারে।
পরবর্তী কী হতে পারে?
✔ হাই কোর্টের রায় যদি সরকারের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে জরিমানা বা কঠোর নির্দেশ আসতে পারে।
✔ নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি সময়মতো শুরু না হয়, তাহলে আরও মামলা হতে পারে।
✔ দাগি তালিকা প্রকাশ না করলে অযোগ্যরা পুনরায় পরীক্ষায় বসতে পারে, যা বিতর্ক বাড়াবে।
এই মামলা শুধু আইনি ইস্যু নয়, এটি হাজার হাজার শিক্ষক ও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
