হোলি, রঙের উৎসব নামে পরিচিত, ২ ০ ২ ৫ সালের ১ ৪ ই মার্চ ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পড়েছে । এটি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সারা বিশ্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে একটি আনন্দদায়ক ও রঙিন উৎসব। এই দিনে মানুষ একে অপরের উপর রঙিন গুঁড়ো ও রঙিন জল ছুড়ে মারে, একসাথে গান গায়, নাচে এবং মিষ্টি খায়। হোলির বিশেষত্ব হলো এই দিনে জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, বয়স বা সামাজিক মর্যাদার কোনো ভেদাভেদ থাকে না। সবাই একসাথে মিলে আনন্দ করে।

হোলি উৎসবের দুটি প্রধান অংশ হলো হোলিকা দহন এবং ধুলণ্ডী খেলা।

হোলিকা দহন:
হোলির আগের রাতে হোলিকা দহন অনুষ্ঠিত হয়, যা হিন্দু পুরাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাহিনীর সাথে জড়িত। এই কাহিনী অনুযায়ী, হিরণ্যকশিপু নামক এক অহংকারী দানব রাজা তার পুত্র প্রহ্লাদকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন, কারণ প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণুর একনিষ্ঠ ভক্ত। এই ঘটনাকে অসুরের উপর দেবতার বিজয় হিসেবে উদযাপন করা হয়। হোলিকা দহনের মাধ্যমে মানুষ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির বিজয়কে স্মরণ করে এবং নতুন করে ভালো কাজ করার শপথ নেয়।

Read more – ২০২৫ সালে গরমের ছুটি কত দিন? ঘোষণা করলো পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।
ধুলণ্ডী খেলা
হোলিকার পরের দিনই শুরু হয় ধুলণ্ডী খেলা, যা হোলির সবচেয়ে রঙিন এবং আনন্দময় অংশ। এই রঙ খেলার পিছনে রয়েছে ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের গল্প। কথিত আছে, কৃষ্ণ রাধার মুখে রঙ ছুঁড়ে মেরেছিলেন, কারণ তিনি তার গায়ের নীল রঙ নিয়ে বিব্রত বোধ করতেন। এই ঘটনা থেকেই ধুলণ্ডী খেলার সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

হোলি হলো রঙ, আনন্দ ও ভালোবাসার উৎসব। এটি আমাদের শেখায় যে জীবনের সব রঙই সুন্দর, যদি তা ভালোবাসা ও সম্প্রীতির সাথে মিশে যায়। এই হোলিতে আমরা সবাই একসাথে মিলে আনন্দ করি এবং জীবনের নতুন রঙ খুঁজে পাই।